শিরোনাম
স্টাফ রিপোর্টার : | ০৫:৫৭ পিএম, ২০২০-১০-২৫
রেল দেশের অন্যতম সেবাখাত। এ খাতে বছওে সরকারের বরাদ্ধ শত শত কোটি টাকা। কিন্তু দুর্নীতি, অনিয়ম ও অবহেলায় লোকসানই বয়ে যাচ্ছে এ খাত। তবে কিছুটা সাশ্রয় হয় পরিবহন খাতের মাধ্যমে। কিন্তু অযত্ম, অবহেলায় এ খাতের মরণদশা।
রেলের আয় পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ৫ বছরে যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে অন্যান্য মাধ্যমে ধাপে ধাপে আয় কমলেও বেড়েছে পণ্য পরিবহন খাতে। করোনাকালীন রেলের আয়ে ভাটা পড়তে দেয়নি এ পণ্য পরিবহন। কিন্তু রেলকে বিলুপ্ত হতে না দেয়া এ খাতটিই এখন অযতœ আর অবহেলায়। পণ্য পরিবহনের যে ইয়ার্ডটি ব্যবহার করে প্রতিবছর শত শত কোটি টাকার রাজস্ব পাচ্ছে রেল, সেটি রক্ষায় নেই সীমানা প্রাচীর। যার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যক্তিরা। রাত হলেই বাড়ে চোরদের আনাগোনা। চুরি হয় রেল সম্পদ। জনবল সংকট ও সীমানা প্রাচীর না থাকায় নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা।
এ সমস্যা সমাধানে সিজিপিওয়াই এর সম্পূর্ণ সীমানা প্রাচীর ও ১২টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করার অনুরোধ জানিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলীকে (ডিএন-৩) একটি চিঠি দেয় আরএনবির কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ রেলওয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ ইয়ার্ডটিতে রয়েছে শত শত খালি ও পণ্য বোঝাই কন্টেইনার, বিটিও (ট্যাংক ওয়াগন), বিসি ওয়াগন ও বিকেএইচ ওয়াগন। যা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করছে রেল। এছাড়াও এই ইয়ার্ডটিতে রয়েছে একটি লোকোশেড ও ট্রানজিট ইয়ার্ড। তবে যে ইয়ার্ড ব্যবহার করে প্রতিবছর আয় হচ্ছে শত কোটি টাকা সে ইয়ার্ডের সম্পদ রক্ষায় যেন অনেকটাই উদাসহীন সংশ্লিষ্টরা।
ইয়ার্ডটির নিরাপত্তায় নেই সীমানা প্রাচীর, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ওয়াচ টাওয়ার। যদিও বেশ কয়েকবার সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য টাকা নিয়ে কাজ সমাপ্ত না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছে ঠিকাদার। তাই পুরো ইয়ার্ডের চার ভাগের তিনভাগেই হয়নি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ। যার খেসারত দিতে হচ্ছে রেলকে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় বহিরাগতরা চাইলেই প্রবেশ করতে পারছে রেলের গুরুত্বপূর্ণ এই ইয়ার্ডে। কারণ, এই ইয়ার্ডটির দক্ষিণ পাশে রেলের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শতাধিক বসতি। এছাড়া রাতের আলোর স্বল্পতাকে কাজে লাগাচ্ছে চোররা। নিয়ে যাচ্ছে যন্ত্রাংশ ও মালামাল। জনবল সংকটের কারণে এদের ধরতেও পারছে না রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডের নিরাপত্তায় থাকায় আরএনবির ১৬টি বিটের মধ্যে মাত্র ৬টি বিটে নিয়োজিত আছে নিরাপত্তা কর্মী। একই অবস্থা সিপিএ ইয়ার্ডে (ট্রানজিট)। মাত্র একজন হাবিলদার ও ৩ জন সিপাহী দিয়ে চলছে নিরাপত্তা কার্যক্রম। তাইতো স্বল্প সংখ্যক সদস্য দিয়ে সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করতে সম্পূর্ণ সীমানা প্রাচীর, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ১২টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছে রেলের নিরাপত্তা বাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরএনবির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, একেতো সীমানা প্রাচীর নেই তার ওপর বিদ্যুৎ স্বল্পতা। রাত হলেই ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার হচ্ছে না এখানকার আগাছা গুলোও। জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে বলতে পারেন। এত বিশাল এই ইয়ার্ডটি পাহাড়া দিতে যত জনবলের প্রয়োজন তাও নেই। যার সুযোগ নিয়ে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারছে এবং যন্ত্রাংশসহ রেলের মালামাল চুরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মালামাল চুরি হলে জবাবদিহির পাশাপাশি আমাদের সদস্যদের জরিমানাও গুনতে হচ্ছে। তাই এখানে কাজ করতেও চাচ্ছে না কেউ। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরএনবির পক্ষ থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিএন-৩) বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। যেখানে ১২টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের পাশাপাশি সীমানা প্রাচীর সম্পূর্ণ করার অনুরোধ জানিয়েছি আমরা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত আলী এ সমস্যা সমাধানে শিগগির কাজ শুরু হবে বলে জানান
স্টাফ রিপোর্টার : : নতুন করে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। সলিমপুরে পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য, কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। ব...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ৩৮৮তম শাখার উদ্বোধন করা হয়ে...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার ৪০তম বার্ষিক সভা ও নির্বাচিত বেসরকারী মাদ্রা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited